সাখাওয়াত হোসাইন 

বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ। সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ধার অভিযান, মাদকবিরোধী উদ্যোগ ও অবৈধ স্পা-হোটেলবিরোধী অভিযানে তাঁর নেতৃত্ব পর্যটক ও স্থানীয়দের মধ্যে আস্থা ও প্রশংসা কুড়িয়েছে।
গত জুলাই মাসে কক্সবাজার পর্যটন পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পেশাগত দক্ষতা ও কাজের পরিবেশ উন্নয়ন আমাদের জন্য অপরিহার্য। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও পেশাদার আচরণ বজায় রাখতে হবে।
একই মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী হিমছড়ি সমুদ্রে ডুবে গেলে তিনি সরাসরি উদ্ধার অভিযানের তত্ত্বাবধান করেন। ফায়ার সার্ভিস, পর্যটন পুলিশ ও লাইফগার্ডদের সমন্বয়ে তৎপরতা চালানো হয়। তিনি জানান, “উদ্ধার অভিযান চলাকালীন সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সমন্বয় বজায় রাখা হয়েছে। পর্যটক ও স্থানীয়দের নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার।
যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলা ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেন তিনি। জুলাই মাসে Beach Tchoukball ক্রীড়া প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করে বলেন, “ক্রীড়া শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। এটি তরুণদের সঠিক পথে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।” এছাড়া ‘Creators of Cox’ মিটআপে অংশ নিয়ে ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাতাদের সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
১৪ আগস্ট পর্যটন পুলিশের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন স্পা সেন্টার ও হোটেলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অনুমোদনহীন কার্যক্রম ও অবৈধ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “পর্যটন নগরীর ভাবমূর্তি রক্ষায় কোনো অবৈধ কার্যক্রমকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বদা তৎপর থাকব।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা মনে করছেন, তাঁর নেতৃত্বে কক্সবাজারে নিরাপত্তা আরও জোরদার হয়েছে। এক পর্যটক বলেন, “তিনি থাকলে কক্সবাজারে আসা নিরাপদ মনে হয়। তাঁর উপস্থিতিই আস্থা জোগায়।”